বর্তমান সময়ে বাজিতপুরে ইসলাম গ্রুপের বহু অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দর্শনীয় স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নিম্নে কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা দেয়া হলোঃ 1) জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালঃ মরহুম জহুরুল ইসলামের অনন্য কীর্তি ভাগলপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। 1989 সালের আগস্ট মাসে হাসপাতালটি চালু হয় এবং 1992 সালের আগস্ট মাসে মেডিকেল কলেজটি চালু হয়। আধুনিক স্থাপত্যকলার সুরম্য ভবন এবং মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এটি বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। অত্র অঞ্চল তো বটেই পাশ্ববর্তী জেলা নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নরসিংদী সহ কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার অনেক মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। দেশী-বিদেশী অনেক অভিজ্ঞ চিকিৎসক এখানে এসে চিকিৎসা সেবা দেন। এখানে একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটও আছে। বর্তমানে হাসপাতালটি 500 বেডের। বর্তমানে এখানে দেশী-বিদেশী অনেক শিক্ষার্থী চিকিৎসা বিষয়ে অধ্যয়নরত আছে।
2) বেংলা ফিসারীঃ বেংলা চড়া বাধা ফিসারী দিঘীরপাড় ইউনিয়নে 1363.57 একর আয়তন বিশিষ্ট একটি জলমহাল। মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে জলমহালটি দীর্ঘ মেয়াদে লীজ দেয়া আছে। এ জলমহাল থেকে প্রচুর সরকারী রাজস্ব আদায় হয়। শীতকালে এখানে প্রচুর অথিতি পাখি আসে। শুনকা মৌসুমে পানি কমে গেলে জলমহালের চরে শত শত একর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়। সেখানে একদিকে সবুজ ধানের ক্ষেত অন্য দিকে শীতল স্থির জলরাশির মাঝে অতিথি পাখির কলরবে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দূরদূরান্ত থেকে অনেক লোকজন এখানে বনভোজনে আসে।
3) বিস্তীর্ণ হাওড়ঃ বাজিতপুর একটি নিম্নভূমির এলাকা। মূলত এখান থেকেই বাংলাদেশের হাওর এলাকা শুরু বলে বাজিতপুর ভাটি অঞ্চলের প্রবেশদ্বার () নামে জেলাবাসীর কাছে সুপরিচিত। বাজিতপুরের 11টি ইউনিয়নের 2টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণরূপে এবং 3টি ইউনিয়ন আংশিকভাবে হাওড় এলাকার অর্ন্তভূক্ত। বর্ষা মৌসুমে হাওড় এলাকা পানিতে পরিপূর্ণ হলে এসব এলাকা এক একটি দ্বীপের মতো দেখায়। অনেক বাহারী নৌকা ও সময় হাওড় এর বুক চিরে দূর দূরান্তে চলাচল করে। হাওড়ে নৌকা ভ্রমণে নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্য তখল ভালভাবে উপভোগ করা যায়।
| কিভাবে যাওয়া যায় | অবস্থান |
---|---|---|
তেঘরিয়া নুরপুর হ্যালিপ্যাড | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ৫ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
আফতাব হ্যাচারী | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ১০ মিনিট | সরারচর ইউনিয়র |
সরারচর জমিদার বাড়ী | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ২০ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
পুরান গাও সাহেব বাড়ী | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ৫ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
কামালপুর লেংটার আশ্রম | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ২৫ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
কামালপুর শাহ নীধির মাজার | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ৫ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
গোবিন্দপুর দমের মাজার | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ৫ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
কামালপুর ঐতিহাসিক মঠ | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ৫ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
তেঘরিয়া মৃধা বাড়ী | বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত হতে সরারচর রেল ষ্টেশন হতে পায়ে হেটে ১০ মিনিট | সরারচর ইউনিয়ন |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস