শুকিয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদী!
৩০ বছরের মধ্যে স্মরণকালের ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছে উত্তরবঙ্গের নদী তিস্তা। নদীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন ৪ হাজার কিউসেক পানি, কিন্তু এখন আছে মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ কিউসেক পানি। ভারত গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট বন্ধ করে দেওয়ায় তিস্তা নদীর এই সংকটের পাশাপাশি তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তিস্তা ব্যারেজের প্রধান ও শাখা সেচনালায় কোনো পানি নেই। রংপুর বিভাগের ৩ জেলার ১২ উপজেলার কৃষি এবং নদী নির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতি হুমকির মুখে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩-৮৫ সময়কালে ফেব্রুয়ারির প্রথম ১০ দিন ৫ হাজার ৯৮৬ কিউসেক, দ্বিতীয় ১০ দিন ৫ হাজার ১৪৯ কিউসেক পানি পাওয়া গিয়েছিল তিস্তায়। এ বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ১০ দিন তা ছিল ৪৫০ কিউসেক। আর গতকাল বুধবার পর্যন্ত হিসাব হলো তিস্তার পানি ৪৫০ কিউসেক থেকেও কমেছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৩১৩ কিউসেক।
যৌথ নদী কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায় ব্যারাজ নির্মাণ শুরুর আগে ১৯৭৩-৮৫ সময়কালে বিনিময়কৃত উপাত্তের ভিত্তিতে তুলনার জন্য ওই সময়ের হিসাব উল্লেখ করা হয়।
তিস্তা চুক্তি সই না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সেচ প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত ও নদী রক্ষার লক্ষ্যে ‘ন্যায়সংগত পরিমাণ’ পানি ছাড়তে দিল্লিকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে ঢাকা। গত বছরের প্রথম তিন মাসে পাঁচ দফায় চিঠি চালাচালি ও বৈঠক করে বিষয়টি তুলেছে বাংলাদেশ। ভারত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও পানিপ্রবাহ ক্রমাগত কমছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস